রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২১ অপরাহ্ন
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানায় শেফালী বাড়ৈ (৪৫) নামের এক মহিলাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এই ঘটনায় উজ্বল ফলিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ডাসার থানা পুলিশ।
সরেজমিনে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার ডাসার থানাধীন খিলগাও গ্রামের উপেন বাড়ৈর স্ত্রী শেফালী বাড়ৈ দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়ে মমতা রানী (২০) ও মেয়ে জামাই রবীন ফলিয়ার বাড়ি দক্ষিণ শশিকর গ্রামে থাকতেন। কিন্তু রবীন ফলিয়ার স্ত্রী মমতা দীর্ঘদিন ধরে পাশ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় গাইনের সাথে পরকীয়া প্রেমের টানে গত মাসে মমতা তার শ্বশুর বাড়িতে দুই সন্তান ও তার মা কে রেখে প্রেমিক মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে পালিয়ে যায়। পরে পারিবারিক ভাবে সালিশীর মাধ্যমে মমতাকে রবীন ফলিয়া বাড়িতে ফিরিয়ে নিলেও পারিবাকি অশান্তি লেগেই থাকে। সেই অশান্তির জের ধরে রোববার সকালে মমতার বাবা উপেন বাড়ৈ ও মমতার সৎ ভাই পঞ্চানন বাড়ৈ মমতার শ্বশুড় বাড়ি থেকে মমতা ও তার মাকে নিয়ে আসে। মমতার স্বামী রবীন ফলিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তার শ্বাশুড়িকে তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসার পরে শারীরিক নির্যাতন করে বরিশালে পাঠানোর পরে রোববার রাতে সে মারা গেছে। কিন্তু উল্টো তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডাসার থানায় রবীন ফলিয়াসহ অন্যান্যদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।
মমতার দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ৭ বছরের ছেলে রকি ফলিয়া জানায়, ‘তার দিদি মাকে তার মামা ও দাদু পিটিয়েছে। আমার বাবা দিদিমাকে মারে নি।’
অপরদিকে শেফালি রানী বাড়ৈর স্বামী উপেন বাড়ৈ অভিযোগ করেন, আমার স্ত্রীকে মেয়ে জামাই ও তার আত্মীয় স্বজন পিটিয়ে মেরেছে। আমরা তার বিচার পাওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
এব্যাপারে ডাসার থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, আমরা শেফালী বাড়ৈর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উজ্জ্বল নামের একজনকে আটক করেছি। হত্যার আসল সত্য উদঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশ এখনো বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসারে এখনো আসেনি।